লোকজীবন
চর্চা ও মানস চর্চার সামগ্রিক রুপায়্ন লোকসংস্কৃতি।লোকসংস্কৃতির
উপাদান গুলির মধ্যে বস্তুগত ও অবস্তুগত দুই
ধরনের উপাদান ই আছে।যে কোন জাতিরই আপন আত্মার
অব্স্থান লোকসংস্কৃতির গভীরে প্রথিত।ফলে কোনো
জাতির অস্তিত্ব খুজে পেতে লোকসংস্কৃতির উপাদানের
উপরে নির্ভর করতে হয়্।সেই কারনে লোকসংস্কৃতির সঙ্গে জরিত বিষয়্বস্তু সংরক্ষণে সংগ্রহশালা গুলির যথেষ্ট গুরুত্ত রয়েছে।জাতির আত্মানুসন্ধান আর সংস্কৃতির
মুলানুসন্ধানে স্ংগৃহীত উপাদান গুলি বিশেষ সাহায্য করে।
পশ্চিমবঙ্গের
বিভিন্ন জেলায় ছড়িয়ে থাকা সংগ্রহশালা গুলি অধিকাংশই পুরবস্তুনির্ভর্।নৃতাত্ত্বিক উপাদান
লোকশিল্পের উপাদান নির্ভর কিছু সংগ্রহশালা প্রতিষ্ঠীত হলেও তার সংখ্যা অল্প।সর্বত্র ই অর্থনৈতিক দুরাবস্থার
চিত্র ফুটে উঠেছে।অধিকাংশ খেত্রেই বিজ্ঞআন সম্মত সংরক্ষণের উপায় নেই।.।তাই লোকসংস্কৃতির
উপাদান পট সংগ্রহ ও সংরক্ষণে সংগ্রহশালাগুলির ভুমিকা নিন্মে আলোচিত হল।
গুরুসদয় সংগ্রহশালা-লোকসংস্কৃতির চর্চার খেত্রে গুরুসদয় সংরগ্রহশালার গুরুত্ত অপরিসীম্।গুরুসদয়
দ্ত্ত(১৮৮২-১৯৪১) প্রতিষ্ঠত "বাংলার ব্রতচারী সমিতির্" উদ্যগে কোলকাতার কাছে থাকুর পুকুর এর পাশে জোকা
গ্রামে ১০০ বিঘা জমির খানিকটা অংশে এই সংগ্রহশালা
প্রতিষ্ঠত হয়্।সংগ্রহশালায় জরানো পটের সংখ্যা প্রায় ২৫৮।রামায়্নের কাহিনী ৫২ টি পটে ,২টি পটে দশাবতার গল্প,১৬টি পটে বেহুলা ও মনসার কাহিনী,৬
টি পটে চন্ডিমঙ্গল্,৮ টি পটে শক্তিরুপিনী দুর্গার
কাহিনী,৬ টি গাজির কাহিনী,৫ টি পটে রাজার গল্প।১৩ টি পটে গৌরাঙ্গ কাহিনী,১০ টি সাওঁতাল পট ও কৃষ্ণলীলাকে
কেন্দ্র করে রয়েছে ৫৮ টি পট
আনন্দ নিকেতন কীর্তিশালা -হাওড়া জেলার বাগনানে ১৯৬২
সালের ১৪ইজানুয়ারি আনন্দ নিকেতন কীর্তিশালার
উদ্বোধন হয়। এখানে সংগৃহীত মোট পটের সংখ্যা ৮৬। এই পট শিল্পের দুটি বিভাগ ১)জড়ানো
পট ২) চৌকো পট
আশুতোষ সংরগ্রহশালা -কলিকাতা বিশ্ব বিদ্যালয়্-১৮৫৭ সালে
কলিকাতা বিশ্ব বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠত
হওয়ার পর ১৯৩৭ সালে আশুতোষ
সংরগ্রহশালার উদ্বোধন হয়।এই সংরগ্রহশালায় দুই ধরনের পট আছে ১)জড়ানো পট ২) চৌক পট। পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলা
থেকে সংগৃহীত মোট ১৯ টি জড়ানো পট আছে। এই পট গুলি সঙ্রখনের জ্ন্য পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ফিউমেগেশান চেম্বার ব্য়বহার
করা হয়।
কল্যানী
বিশ্ববিদ্যালয় লোকসংস্কৃতি বিভাগের সংরগ্রহশালা- বিশ্ববিদ্যালয় স্তরে পূর্ণাঙ্গ লোকসংস্কৃতি বিভাগ প্রতিষ্ঠা ক্ষেত্রে কল্যানী বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্ব
অপরিসীম্।১৯৯০ সালে এই বিশ্ববিদ্যালয় টি প্রতিষ্ঠিত হয়।তখন থেকেই সংরগ্রহশালা স্থাপন এর উদ্যোগ দেখা যায়।এখামে মোট
চারটে পট প্রদর্শিত আছে
রজনীকান্ত
জ্ঞান মন্দির ও গবেষণা কেন্দ্র-এখানে শোলার
কয়েকটি পট সংগৄহীত রয়েছে।
তাম্রলিপ্ত সংগ্রহশালা ও
গবেষণা কেন্দ্র- জেলার তমলুক
পুরসভার দুটি ঘরে সংগ্রহশালার উপাদান প্রদর্শিত আছে এবং সংগ্রহশালায়
১৫ টি জড়ানো পট প্রদর্শিত হয়েছে।
আচার্য্য
যোগেশচন্দ্র পুরাকৃতি ভবন-বিষ্ণুপুরে অবস্থিত
বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদের একটি শাখা।এখানে সংগৃহীত
জরানো পটের সংখ্যা ১০।
রামকৃষ্ণ
মিশন সংগ্রহশালা-কোলকাতার গোলপার্কে অবস্থিত এই সংগ্রহশালায় ওড়িষার পট রয়েছে।এর ম্ধ্যে
৩টি জগন্নাথ্ পট ও একটি
অষ্টাদশ শতকের তৈরী নবগ্রহ পট রয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গ
রাজ্য প্রত্নতত্ত্ব সংগ্রহশালা- কোলকাতা বেহালা
ট্রাম ডিপোর কাছে অব্স্থিত এখানে
মোট ১৭ টি পট প্রদর্শিত হয়েছে।কিছু কালীঘাট্ পট ও আছে।
ভারতীয়
যাদুঘর্- কোলকাতার এশিয়াটিক সোসাইটিতে ১৮১৪
সালে উদ্বধন হয়।ভারতীয় যাদুঘরে মোট ৪০ টি পট আছে।
বিড়্লা একাডেমি অব আর্ট আ্ন্ড কাল্চারাল সংগ্রহশালা-মূলত এটি ভারতীয় ধ্রপদী শিল্পের প্রদর্শন কক্ষ ।তবু এখানে দুটি কালীঘাটের পট রয়েছে। এর মধ্যে একটি শিব ও অপরটি মহিষাসুরমর্দিনী মূর্তি।